টুইটারে বট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মাস্কের বিমানের গতিপথ নজরদারি করতেন জ্যাক সুইনি। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, @ElonJet নামে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মাস্কের ব্যক্তিগত বিমানের গতিপথের ওপর নজরদারি করা হতো। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানতে পেরে টুইটার কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়।
বন্ধ করে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই @ElonJet নামে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে জানানো হয়, ‘টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করায় নিষিদ্ধ করার পর আবারও ফিরে এলাম।’ এর ঘণ্টা খানেক পর মাস্ক আবারও সেই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে টুইটারের নতুন মালিক এটিও জানিয়ে দেন, টুইটারের কোনো অ্যাকাউন্ট থেকেই কারো বর্তমান অবস্থান শেয়ার যাবে না আর।
এরপর জ্যাক সুইনি নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক টুইটে লিখেন, ‘ভালো, @ElonJet অ্যাকাউন্টটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ এ সময় জ্যাক সুইনি টুইটার কর্তৃপক্ষের পাঠানো একটি বার্তার স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। বার্তাটিতে লেখা ছিল, ‘অতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করার পর আমরা নির্ধারণ করেছি যে, আপনার অ্যাকাউন্ট টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করেছে। বর্তমানে আপনার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে কেবল “রিডিং মুডে” আছে। যার অর্থ হলো, আপনি টুইট, রিটুইট বা কন্টেন্ট লাইক করতে পারবেন না। এমনকি আপনি নতুন অ্যাকাউন্টও তৈরি করতে পারবেন না।’
ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত বিমানের ওপর নজরদারি চালানো ওই বট অ্যাকাউন্টের পেছনের মানুষটি এক কলেজশিক্ষার্থী। জ্যাক সুইনি নামে ফ্লোরিডাবাসী ওই তরুণ বিমান চলাচলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে খুবই উৎসাহী। কেবল ইলন মাস্কের বিমানের ওপর নয় জ্যাক সুইনি বিল গেটস, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গের বিমানের গতিপথও নজরদারি করতেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
পরে জ্যাক সুইনির নিজস্ব অ্যাকাউন্টসহ বিল গেটস, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গের বিমানের গতিপথ নজরদারি করা বট অ্যাকাউন্টগুলোও বাতিল করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, টুইটার ছাড়াও সুইনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেও মাস্কের বিমানের গতিপথের ওপর নজর রাখতেন।
এই জ্যাক সুইনিই গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকজন রুশ অলিগার্কের ব্যক্তিগত বিমানের গতিপথের ওপর নজর রাখতেন।