প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ ভাষণ শুরু হয়। বিটিভিসহ জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমগুলোতে তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিলাম। এসব ভাতাভোগীর সংখ্যা এবং টাকার পরিমাণ উভয়ই বৃদ্ধি করা হয়েছে। সমাজের সকল অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ যেমন, হিজড়া, বেদে, হরিজন, সুইপার, চা শ্রমিক – এদের জন্য বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাভাতা ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।’
১৯৯৬ সালে সরকারের দায়িত্বে এসেই আওয়ামী লীগ সরকার ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে ঘর প্রদান, জীবন-জীবিকার জন্য প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেয়া করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমরা ঘোষণা করেছি কোনো মানুষই আশ্রয়হীন থাকবে না। সে জন্য আমরা ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রশিক্ষণ ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা ২ কোটি ৫৩ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছি। মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।’
শহর থেকে গ্রাম – প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের ঘর আলোকিত হয়েছে। সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষা, ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট সংযোগ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে।’
‘দেশের ২ কোটি কৃষক কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়ে স্বল্পমূল্যে সার, বীজসহ অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করতে পারছেন। ১ কোটি কৃষক ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছেন। ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়। সেচের জন্য সুলভমূল্যে বিদ্যুৎ এবং কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৭০% ভর্তুকি পাচ্ছেন,’ যোগ করেন তিনি।