নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ইমরান সালেহ প্রিন্স।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কিন্তু ওইদিন আওয়ামী লীগের সম্মেলন থাকায় তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে ভাবছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স এ কথা বলেন।
গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ২৪ তারিখই বিএনপির গণমিছিল হবে। তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিখ পেছানোর জন্য অনুরোধ করেছেন, তাই নীতি নির্ধারকরা নতুন তারিখের বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদেরকে জানানো হবে।
কারাগারে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, কারাগারে তাদেরকে ডিভিশন দেয়ার কথা থাকলেও শুরুতে সেটা দেয়া হয়নি। আটকের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লকআপে রাখা হয়েছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, এরপরও তাদের ওষুধ পর্যন্ত দিতে দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাদের আবারও বেছে বেছে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলের খোঁজে আব্দুর রহিমের বাবা-মা নয়াপল্টন এসেছেন। আমরা রহিমকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি, তা না হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত ৭ ডিসেম্বরে বিএনপি অফিসে হামলার পর অনেক নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে এ ধরনের ন্যক্কারজন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের যে অপরাজনীতি, তা থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয় বিদেশিরাও আজকে নিরাপদ নয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তার ঘটনায় সরকার জড়িত।
প্রিন্স বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষুণ্ণ হবে। বাংলাদেশে যে আজকে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে অপশাসন চলছে, সেটা আরও ফুটে উঠবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ অনেকে।