থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের কন্যা রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর রাজকুমারীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজপ্রাসাদ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী বজ্রকিতিয়াভা থাই রাজা ভাজিরালংকর্নের বড় মেয়ে। রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় পোষা কুকুরদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় রাজকুমারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি হৃদরোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
রাজকন্যাকে রাজকীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জেলার পাকচংনানা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর তাকে হেলিকপ্টারে করে রাজা চুলালংকর্ন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে রাজকুমারীর অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলে জানিয়েছে। তবে তার পরিস্থিতি ‘গুরুতর’ বলে কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজকুমারী রাজার প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস সোমসাওয়ালির মেয়ে এবং তার বড় সন্তান। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে বজ্রকিতিয়াভা তার বাবার সবচেয়ে কাছের মানুষের একজন হয়ে ওঠেন। তাকে রাজার ব্যক্তিগত রক্ষীবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দুটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।
রাজা ভাজিরালংকর্ন এখনও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেননি। তবে রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভাকে সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হয়। রাজার তিন সন্তানের মধ্যে তার আনুষ্ঠানিক উপাধি রয়েছে।
রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা ব্যক্তিগতভাবে খুব স্বাস্থ্যসচেতন। এ ছাড়া থাইল্যান্ডে শাস্তিমূলক সংস্কারের পক্ষে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। বিশেষ করে নারী বন্দিদের জন্য তিনি বেশ সোচ্চার। বজ্রকিতিয়াভা ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।