পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া জোরদার করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। ২০ ডিসেম্বর কমিশনের আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিকে ১৭ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরান খান। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করায় গত অক্টোবরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পার্লামেন্টে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা ও তার সদস্যপদ খারিজ করে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ইসিপি। গত ২২ নভেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে কমিশন আবেদন করলে তা গ্রহণ করেন আদালত।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর প্রক্রিয়া জোরদার করেছে ইসিপি। কমিশনের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আরশাদের বরাত দিয়ে ডন আরো জানায়, ২০ ডিসেম্বর রেফারেন্সের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিনই দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছে ইসিপি।
তবে নির্বাচন কমিশনের এমন কর্মকাণ্ডকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খানের আইনজীবী। আর পিটিআইয়ের অন্য শীর্ষ নেতারা বলছেন, একটি দলের প্রধানকে সরানোর কোনো আইনি ভিত্তি ইসিপির নেই। এমনকি কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলেও মন্তব্য করেন কয়েকজন নেতা।
এদিকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ইমরান খান। সরকারকে নির্বাচনে বাধ্য করতে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইমরান জানান, বাকি শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছেন তিনি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর লাহোরে একটি সমাবেশ থেকে পার্লামেন্ট ভাঙার তারিখ জানানো হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে সরকার দেশজুড়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।