মাগুরায় শীতজনিত রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রায় দুই শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে সেবিকাদের অবহেলা তত্ত্বাবধানের অভাবে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
শিশুর অভিভাবক মিলি অক্তার জানান, তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। শিশুটির সর্দিকাশি ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হচ্ছে। এর জন্য নার্সদের ডাকলে তারা সময়মতো আসছেন না। আবার একবার থেকে দুবার ডাকলে ঝাড়ি মেরে উঠছেন। ছোট শিশুকে নিয়ে কী করব, কোথায় যাব।
অভিভাবক সবেদা বেগম বলেন, গত তিন দিন বাচ্চার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। ডাক্তার একদিন দেখেছে আর সাক্ষাৎ পাইনি। ধীরে ধীরে শিশুর সমস্যা আরও বাড়ছে।
২৫০ শয্যা হাসপাতাল উপপরিচালক ড. এসএম মারুফ হাসান বলেন, জনবল সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৫০ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২০ জন। মাগুরা ২৫০ শয্যা আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ঠান্ডাজনিত সমস্যা। আর শিশুদের নিয়েই সব থেকে বড় সমস্যা মাত্র একজন কনসালটেন্ট রয়েছে শিশু বিভাগে। তারপরও মেডিসিন বিভাগের দু-একজন ডাক্তার এনে আপ্রাণ চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ও মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. অলোক সাহা বলেন, ঠান্ডাজনিত যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে আসতে হবে। শিশুদের গায়ে বাইরের বাতাস লাগানো যাবে না। কুসুম গরম পানি খাওয়া ও ব্যাবহার করতে হবে। তাদের দিনের আলোয় হালকা রোদের তাপ দিতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করাতে হবে। গরম কাপড় পরাতে হবে।