ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষন কাজ করছেন কয়েকজন কর্মী।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবনা দেয়। যেখানে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ১ হাজার ৩০০ লোক চাইলেও মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মাত্র ১৩ জন। এতে করে আগের প্রকল্পের মতো আবারও ভুগতে হতে পারে রক্ষণাবেক্ষণে।
জাতীয় নির্বাচনে দেড়শ আসনে ভোট করার পরিকল্পনা ইসির। সেই লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বরই প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় কমিশন। কমিশনের রোডম্যাপ অনুসারে সেই প্রকল্প নভেম্বরেই অনুমোদন পাওয়া দরকার ছিল। অথচ ডিসেম্বরের মাঝে এসেও অনুমোদনের অপেক্ষায় ইসি।
ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, প্রকল্প পাস করার যে গতি দরকার সেভাবেই সেটা চলছে কিন্তু সামনের নির্বাচনের কথা যদি মাথায় রাখি তাহলে আরেকটু দ্রুত গতিতে এ প্রকল্প পাস করানো দরকার। সেই সঙ্গে এর উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু করা দরকার।
এদিকে প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া ধীর গতি হওয়ার ফলে জটিল হয়ে পড়েছে কমিশনের দেড়শ আসনের সমীকরণ। চারমাসে কেবল একদফা সংশোধন দিয়ে ১ হাজার ৩০০ জনবলকে নামিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ১৩-তে। এতে আবারও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পড়তে হতে পারে পুরনো সংকটে।
এ ছাড়া রোডম্যাপে ক্রয় প্রক্রিয়া আর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় ইভিএম পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলা আছে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারির মাঝামাঝিতেও চুড়ান্ত অনুমোদন না হলে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক আসনে ইভিএম এর ব্যবহারের কমিশনের হিসেব মেলানো কঠিন হয়ে যাবে।
রাকিবুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ৩০৩ জন চেয়েছিলাম। জনবল কমিটি এখন পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য মাত্র ১৩ জন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। আমরা যেভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম তার জন্য ১৩ জন জনবল কঠিন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয় আমরা চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এটা বাস্তবায়ন কর শুরু করব। কিন্তু নভেম্বর চলে গেছে তাই এখন যদি পাওয়া যায় তাহলে এটা খুব ভালো হয়। যদি এর পরেও এটা চলে যায় তাহলে বাস্তবায়ন করতে কঠিন হয়ে যাবে।’
সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে হয়েছিল ইভিএমের ব্যবহার। এবার যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ আসনে ভোট গ্রহণ সম্ভব।