করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের পর চীনে আবারও বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। কয়েক মাস আগেও প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসা দৈনিক শনাক্ত এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজারে। এ ছাড়া চলতি মাসে দেশটিতে করোনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, এবারের শীত মৌসুমে চীনে করোনার অন্তত তিনটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে।
দেশজুড়ে তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে চলতি মাসে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য হয় চীন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। শনাক্ত বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। সেই আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করেই যেন দেশটিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এমন খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয় মৃত্যুর বিষয়টি। অনেকেই দাবি করেন, সরকারি তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এখন করোনায় মারা যাচ্ছেন।
দৈনিক করোনা শনাক্তের হারও গত মাসের চেয়ে বেড়েছে। কঠোর ‘জিরো কোভিড’ নীতি তুলে নেয়ার পর বেশ কিছুদিন ধরেই আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোগী সামলাতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলোর। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন হাজার বলা হলেও, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।
অনেকেই বলছেন, গণপরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, তা সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। আশপাশে অনেকেই নতুন করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলেও জানান কেউ কেউ।
শীত মৌসুমে চীনে করোনার অন্তত ৩টি ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে প্রথম ঢেউটি চলছে বলেও দাবি তাদের। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী চীনা নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে আরেকটি নতুন ঢেউ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এরই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকিসন নেয়ার বিষয়ে অনীহার কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।