নিহত ইমাম হোসাইন রনি।
সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি ইমাম হোসাইন রনি। তবে দুর্ঘটনার আগে দেশে পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি।
বুধবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানান নিহত রনির বোন হাজেরা বেগম স্বপ্না।
তিনি বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে ভাই আমাকে বলেছেন, ইফতার শেষে ফোন দিচ্ছি। এরপর থেকে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।’
গত সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাসটি উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে গেলে নিহত হন গাজীপুরের রনিসহ ২২ জন।
নিহত ইমাম হোসাইন রনি টঙ্গীর দেওড়া এলাকার আবদুল লতিফের ছেলে।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের লোকজন।
স্বজনরা জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে পবিত্র ওমরাহ করতে গত ২৭ মার্চ মক্কার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আহাজারি যেন থামছেই না বৃদ্ধ বাবা-মায়ের। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার মরদেহটি হস্তান্তরের দাবি জানান তারা।
হাজেরা বেগম স্বপ্না জানান, রনি সৌদিতে একটি ফাইভ স্টার হোটেলে পাঁচ বছর ধরে চাকরি করতেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে রনি দেশে আসেন। পরে ২৫ মার্চ ছুটি শেষে কর্মস্থলে আবার ফিরে যান।