পুড়ে যাওয়া মার্কেটের জঞ্জাল সরিয়ে ও ইট-বালু ফেলে ব্যবসায়ীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে খোলা আকাশের নিচে আবারও বেচাকেনা শুরু করবেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী মো.দীন ইসলাম হোসেন এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, খোলা আকাশের নিচে, চৌকি পেতে আমরা ব্যবসা শুরু করছি। বুধবার সকাল থেকে মার্কেটের জায়গাতেই ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা শুরু করবেন।
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, বঙ্গবাজারে ঈদের আগেই ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারেন, সে জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পুরো মাঠজুড়ে বসানো হচ্ছে ইট। উপরে দেয়া হচ্ছে বালি। আশপাশের ধ্বংসস্তূপ ভেঙে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আরও বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আমরা চৌকি বা খাট বিছিয়ে মাঠের মধ্যেই ব্যবসা শুরু করবো। আমাদের যা আছে ও নতুন করে ধার দেনা করে কাপড় উঠিয়ে ব্যবসা শুরু করবো।
নিজের ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেটে আমার দুটি দোকান, এবারের ঈদ উপলক্ষে একটি শো রুম ও দুটি গোডাউন ব্যবহার করছিলাম। প্রায় ৫০ লাখ টালার মালামাল ছিল। কিন্তু আগুনে আমি সব হারিয়েছি।’
তবে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখছেন জানিয়ে ব্যবসায়ী বলেন, ‘তিনি যেমন নিয়েছেন, আবার মিলিয়েও দেবেন, সেই বিশ্বাস নিয়ে আছি।’
এদিকে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিয়ষক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এরইমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যবসায়ীদের সহায়তায় সর্বোচ্চটুকু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর দলও। সবার চেষ্টায় বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর। আর পুরোপুরি আগুন নেভে ৭৫ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ৭ এপ্রিল সকাল ৯টায়।
বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।