নরসিংদীতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় গুলি করে দুই ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর শুক্রবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে নরসিংদী সদর থানায় নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে শিরিন সুলতানা কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক।
আর গ্রেফতাররা হলেন- জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, চিনিশপুরের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন ও তার ভাতিজা রাসেল। তাদের শুক্রবার নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ চৌধুরী মামলার তথ্য নিশ্চিত করলেও তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাননি।
তবে তিনি জানিয়েছেন, মামলার বেশিরভাগ আসামিরা স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে দুই নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলাম (২০) কে গুলি করে হত্যা করে।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সদ্য বহিষ্কৃত সাদেকুর রহমান এবং পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান সাদেকুর রহমান এবং পরদিন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুল ইসলামের।