লক্ষ্মীপুর শহরে বোমা ফাটিয়ে আর কে শিল্পালয় নামে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দোকানদারকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পিকআপটি পথচারীদের চাপা দিলে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে শহরের সামাদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় দোকান মালিক অপু কর্মকার ও তার ছেলে অমিত কর্মকার আহত হন।
জানা গেছে, পিকআপ ভ্যানযোগে আসা মুখোশধারী ডাকাত দল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পৌর শহরের ইটেরপোলে ডাকাতদের বহনকারী দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় এক পথচারী নিহত ও দুই পথচারী আহত হন। নিহত ও আহত পথচারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করে।
আর কে শিল্পালয়ের মালিকের ছেলে অমিত কর্মকার জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিকআপ ভ্যানযোগে ৭-৮ জনের মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাতদল দোকানের সামনের সড়কে গাড়ি থামিয়ে দোকানে ঢুকেই স্বর্ণালঙ্কার-নগদ টাকা লুট করতে থাকে। এ সময় বাধা দিলে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার বাবা অপু কর্মকার ও তাকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে পাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এলে ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আহতদের উদ্ধার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এদের মধ্যে গুরুতর আহত অপু কর্মকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে দুই ডাকাতসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত পিকআপ আটক করতে সক্ষম হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আটক ডাকাতরা থানা হেফাজতে রয়েছে। নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে।
জেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরিহর পাল জানান, হঠাৎ ডাকাতির এ ঘটনা উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দ্রুতই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনে আওতায় নিয়ে আসতে হবে।