বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে (বাঁয়ে) ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড (ডানে)। ছবি: সম্পাদিত
বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরু থেকেই কোচিং প্যানেলে বিদেশিদের জয়জয়কার। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও বিদেশিদের বিদেশিদের আনাগোনা। মাঠের কিউরেটরের দায়িত্বেও আছেন বিদেশি, আছেন বিদেশি সাপোর্ট স্টাফও। এই বিদেশিদের পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খরচাও কম নয়।
বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি স্টাফদের পেছনে প্রতিমাসে বিসিবিকে ব্যয় করতে হয় অঢেল অর্থ। এ দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া বিদেশি হলেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এই লঙ্কান কোচ প্রতি মাসে ৩২ হাজার ৫০০ ডলার বেতন পান। বাংলাদেশি টাকার মূল্যে যা ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৬৩৭ টাকার সমান। আয়ের ৩০ শতাংশ কর দিয়ে মাসে ২৫ হাজার ডলার তিনি নিট বেতন হিসেবে পেয়ে থাকেন। টাকার অংকে যা ২৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৮২ টাকার সমান।
বেতন ছাড়াও বিসিবি থেকে আরও অন্যান্য সুবিধাও পেয়ে থাকেন তিনি। তার জন্য বছরে বিমান ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ২৫ লাখ টাকা। ঢাকার আবাসন ও পরিবহন সুবিধাও পেয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া দল জয় পেলে উইনিং বোনাস তো আছেই।
হাথুরুর পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পান জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান সহকারী কোচ নিক পোথাস। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত টাইগারদের এই কোচ পান ১৮ হাজার ডলার বা ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৯১ টাকা। পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করা আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান অ্যালান ডোনাল্ড পান ১৬ হাজার ডলার বা ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৬ টাকা।
টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের বেতন ১০ হাজার ডলার। টাকার অংকে যা ১০ লাখ ৭৯ হাজার টাকারও বেশি। এছাড়া শেন ম্যাকডারমট ও নিকোলাস ট্রেভর লি ৮ হাজার ডলার করে এবং শ্রী চন্দ্রশেখরন ৫ হাজার ডলার বেতন পান প্রতি মাসে।
হাথুরুসিংহের মতো জাতীয় দলের বাকি কোচিং স্টাফরাও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলো ভোগ করে থাকেন। এই ব্যয়গুলোই বিসিবিকেই নির্বাহ করতে হয়। বিদেশি স্টাফদের বেতনের পেছনেই বিসিবিকে প্রতি মাসে ৯৭ হাজার ইউএস ডলার বা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ করতে হয়।