তেলবাহী ওয়াগনের ধাক্কায় উল্টে যাওয়া লরি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রামে বন্দর এলাকায় তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বোঝাই লরির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে লরি থেকে গ্যাস বোঝাই ট্যাংক উল্টে চাপা দিলে এক মোটরসাইকেলচালক প্রাণ হারান। সল্টগোলা এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে তেলবাহী ওয়াগনটি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ডিপো থেকে লোড করে রেলের ইয়ার্ডে আসছিল। এ সময় চট্টগ্রাম নগরীর সল্টগোলায় রেলক্রসিং এলাকা পার হওয়ার সময় হাইড্রোজেন পার অক্সাইডবাহী কন্টেইনার লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লরিটি উল্টে মোটরসাইকেলচালককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ সময় লরির নিচ থেকে মোটরসাইকেল চালক মোজাম্মেল হক লাভলুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নগরীর বারেক বিল্ডিং এলাকা থেকে বিমান বন্দর সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রায়হানুল আশরাফ বলেন, ‘দুটি ইঞ্জিনের ধাক্কা লেগে কেমিক্যালবাহী লরিটি রাস্তার বাঁ দিকে উল্টে যায়। এতে এক মোটরসাইকেল চালক চাপা পড়েন।’
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গেটম্যানের দাবি, সিগন্যাল অমান্য করে লরি চালক যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার ও মেরিন সদস্য কমডোর এম ফজলার রহমান বলেন, ‘ট্রেন যে সেখানে ছিল, লরি ড্রাইভারের তা খেয়াল করার কথা ছিল। ড্রাইভার মনে করেছিল সে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারবে, কিন্তু এতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
স্থানীয়দের দাবি, অরক্ষিত রেল ক্রসিং হওয়ার কারণে বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
এরআগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে একটি তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে বিপুল পরিমাণ ডিজেল পড়ে যায়। এছাড়া মে মাসের ১০ তারিখ চলন্ত কনটেইনার থেকে ছিটকে প্রাণ হারান বাবা ও ছেলে।