প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে অতি মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে; ১৯০ কিলোমিটার গতির ঝড়ো হাওয়ার শক্তি নিয়ে এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ধেয়ে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান উপকূলের দিকে।
রোববার (১১ জুন) ভারতের আবহাওয়া অফিস এক টুইটে জানিয়েছে, রোববার ভারতীয় সময় সকাল ৬টায় মুম্বাই থেকে ৫৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বিপর্যয়। শেষ ছয় ঘণ্টায় এ ঝড় এগিয়েছে ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার গতিতে।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত ‘বিপর্যয়’ উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। তারপর উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ১৫ জুন দুপুর নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে গুজরাটের মান্দভি এবং পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি ভারতের সৌরাষ্ট্র ও কুচ এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সাগর উত্তাল থাকায় গুরাজট, কেরালা, কর্ণাটক ও লক্ষাদ্বীপ অঞ্চলের জেলেদের নৌকা বা ট্রলার নিয়ে সাগরে যেতে নিষেধ করেছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি ধরে রাখায় পাকিস্তানের করাচি পোর্ট ট্রাস্ট (কেপিটি) ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ শনিবার জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
এ ছাড়া বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ নটিক্যাল মাইল হলেই করাচি বন্দরে সব ধরনের জাহাজ ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশে দমকা বজ্রঝড়ের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
করাচি বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। করাচির সৈকতগুলো বন্ধ করে দিয়ে সাগরে নৌকা ভ্রমণ, মাছ ধরা, স্নান বা সাঁতার কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।