বরিশালে ভোট মানেই অনিশ্চয়তার খেলা। ভোটারদের মন মর্জি কখন যে কার দিকে যায় বরাবরই বোঝা মুশকিল। অতীতে নৌকা ও ধানের শীষের পাশাপাশি এই নগরে ভোটের মাঠে দাপট দেখিয়েছে স্বতন্ত্র প্রর্থীরাও। এবারেও প্রায় সবগুলো নতুন মুখ আভাস দিচ্ছে চারমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার। তাই তো ভোটের আগেরদিন রোববার (১১ জুন) এসেও সমীকরণটা মিলছে না কির্তনখোলা পাড়ের এই জনপদের।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অতীত হিসাব ঘাটলে দেখা যায় ২০০৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনায়েত পীরকে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিএনপির মজিবুর রহমান সরোয়ার।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণ মাত্র ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ছিলেন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রায় ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন আধুনিক বরিশালের রুপকার আওয়ামী লীগের হিরণ। ২০১৮ সালে নতুন প্রার্থীর কাছে হেরে যায় বিএনপি প্রার্থী।
এই দফায় নির্বাচনে আবারো নতুন সমীকরণ ভোটারদের সামনে। নৌকার নতুন প্রার্থী খোকন সেনিয়াবাদ। হঠাৎ করেই এবার মাঠ গরম করে শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে হাতপাখা। যদিও এই ভোটের সমীকরণ জটিল করে দিয়েছে লাঙ্গলের ইকবাল হোসেন তাপস। আর সাবেক বিএনপি মেয়র কামাল পুত্র রুপম বিএনপির প্রকাশ্য সমর্থন না পেলেও তলে তলে তিনি ধানের শীষের ব্যাংকের ভোট কুড়াবেন বলেই মনে করছেন ভোটাররা।
তাই এবারের ভোট হচ্ছে চারমুখী। নিজেদের মধ্যে আস্থাহীনতা সংশয়ে থাকলেও দৌড়ে এগিয়ে নৌকা। তবে হাতপাখা, স্বতন্ত্র দেয়াল ঘড়ি আর জাপার প্রভাব সব মিলিয়ে এক শক্ত লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে এই নগরের ভোট।
এবারের ভোটে দুই লাখ ৭৪ হাজার ভোটার নির্বাচন করবেন সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তাদের নগরের পরবর্তী অভিভাবক। সোমবার (১২ জুন) সকালে শুরু হবে ভোটগ্রহণ।