উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার কারণে রিজার্ভে টান পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৫ জুন) সংসদের বাজেট অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়নে ডলারে নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখনও আমাদের রিজার্ভ ৩০.৫৩ বিলিয়ন ডলার। কাজেই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। উচ্চমূল্যে পণ্য আমদানির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা চাই অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি যাতে অর্জিত হয়। আশা করছি আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হার ৭.৫ শতাংশ হবে।
অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে এখনও ৩৫তম অবস্থানে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।
৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার এতবড় বাজেট দেশে এর আগে কখনো হয়নি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
দেশের দারিদ্র্যের হার কমে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার কী পরিমাণে কমেছে দেশে, সেটা একবার ভেবে দেখুন। করোনা, যুদ্ধ আর স্যাংশন না থাকলে দারিদ্র্যের হার ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারতাম।
মেগা প্রকল্পগুলো ঠিকমতো চললে সরকারের আয় বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল থেকে অর্থ উপার্জন শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাশলেস বাংলাদেশ গঠনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আগামী দিনে রফতানিপণ্যের তালিকায় প্রাধান্য পাবে ডিজিটাল পণ্য। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার হাতিয়ার।