বরিশালে পশুর হাট। ছবি:একুশে বিডি
বরিশালে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে গরুর দাম শোনার পর ক্রেতাদের বেশিরভাগই দর্শকে পরিণত হচ্ছে। আর গরুর দাম গতবারের চেয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণ বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা হচ্ছে না বলে জানান বেপারীরা।
সোমবার (২৬ জুন) বরিশালের পশুর হাটগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ২ দিন। শেষ সময়ে জমতে শুরু করেছে বরিশালের পশুর হাটগুলো। তবে বেশিরভাগ হাটেই চড়া গরুর দাম। এতে বিপাকে ক্রেতারা।
সরেজমিনে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় চরমোনাই পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে বাড়িতে লালন-পালন করা গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন খামার থেকে পশু নিয়ে এসেছেন খামারিরা। তবে বেচাকেনা তেমন নেই বলে দাবি বেপারীদের।
তারা জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে কোরবানির হাটগুলোতে। ফলে গরু বেচাবিক্রি তেমন নেই। তবে শেষ মুহূর্তে বাড়তে পারে বেচাকেনা।
চরমোনাই পশুর হাটের পাশাপাশি বিভাগের ৬ জেলার ২৬২ টি হাটেই একই অবস্থা। বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি, তাই দামও বেশি। আর আকারে বড় গরুর দিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি হওয়াতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তবে শেষের দিকে গরুর দাম কিছুটা কমবে বলে আশা তাদের।
এদিকে হাটগুলোর পাশাপাশি খামারগুলোতে দেশি গরুর পাশাপাশি দেখা মিলছে সাইওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্টেলিয়ান ,পাকিস্তানি সাইওয়াল গরুর।
খামারিরা জানান, কোরবানির পশু প্রতি দাম বাড়ার পাশাপাশি খামারে লাইভওয়েট মেশিনে বিক্রি করা পশুর দামও কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া ভারতীয় গরু না আসায় কোরবানির হাট স্থানীয় গরুর দখলে আছে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম বলেন, বরিশাল বিভাগে এ বছর পশুর চাহিদা রয়েছে ৪ লাখ। সেখানে বিভাগের ২৩ হাজার খামারি লালন-পালন করেছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ পশু।
এতে একটা সময় বিভাগের হাটগুলো ভারতীয় গরুর দখলে থাকলেও; বর্তমানে তা স্থানীয় গরু দখল করে নিয়েছে বলে জানান আলম। তিনি বলেন, এতে লাভবান হচ্ছে খামারিরা। আর হাটগুলোতে কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করতে মাঠে আছে দেড় শতাধিক ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, পশু পরিবহনে রাস্তায় চাঁদাবাজির ঘটনা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। আর নৌ পথে যাতে বেপারীরা নির্ভয়ে পশু নিয়ে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে কঠোর অবস্থানে আছে নৌ পুলিশও।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া সবাই কোরবানির ঈদ পালন করতে পারবে। হাটগুলোতে শৃঙ্খলা রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।