ঢাকায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাট থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনে বাসায় নিচ্ছেন এক ক্রেতা।
আষাঢ়ের মাঝামাঝি এই সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন ধরেই। অন্যদিকে রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদুল আজহা। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন বুধবার (২৮ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সারাদিনই ঝরছে। সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে প্রায় ২৯ কিলোমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে।
কোরবানির জন্য অনেকের বাসার ভেতরে নেই পর্যাপ্ত জায়গা আর পশু রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ভোগান্তি তো আছেই।
চারদিক থৈ থৈ পানির কারণে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও জনমনে শঙ্কা দেখা গেছে। তবে এলাকাবাসী বলছেন, বৃষ্টি হলেও ভোগান্তি নিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করবেন তারা।
বংশালের বাসিন্দা বলেন,
এমনিতেই বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে যায়। তার ওপর রাস্তার নির্মাণ কাজের কারণে পানি আরও বেশি জমে গেছে। এমন অবস্থায় ঈদের দিনও যদি বৃষ্টি ঝরে, তবে তো পশু কোরবানি দেয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবো। তার ওপর বর্জ্য ফেলা নিয়েও সমস্যা হয়ে যাবে।
সেখানকার আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি ঝরতে থাকলে পশু কোরবানি দেয়া নিয়ে সমস্যা তো হবেই। কিন্তু তারপরও ঘরের ভেতরেই কষ্ট করে ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর পশুর হাটেও বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গাবতলী পশুর হাটে দেখা যায়, কাদা মাড়িয়ে ছাতা মাথায় হাট চষে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। পশু পছন্দের পর দরদাম করতে বেশি সময় নিচ্ছেন না। বাজেটের কাছাকাছি দাম হলেই কিনে নিচ্ছেন। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরেও হিসাব মেলাতে পারছেন না মধ্যবিত্তরা।
এক ক্রেতা বলেন,
এক ঘণ্টা দরদাম করেও গরু কিনতে পারিনি; দাম ছাড়ছে না ব্যাপারিরা। শেষ মুহূর্তে এসেও ক্রেতাদের নজর এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দামের ছোট ও মাঝারি পশুতে। বৃষ্টির বাগড়ায় লোকসানের শঙ্কায় বিক্রি দামের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছেন না বিক্রেতারাও।
তবে ক্রেতারা ১০ লাখ টাকার পশুর দাম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতে চাচ্ছেন বলে দাবি ব্যাপারিদের। তবে বুধবার শেষ দিনে বিক্রি না করে ঘরে ফিরতে চান না তারা।