চট্টগ্রামের জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠে চামড়া সংরক্ষণের কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজি নস্যাৎ করে দিয়েছে মানবিক সংগঠন গাওছিয়া কমিটি। ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বাসা-বাড়ি থেকে বিনামূল্যে চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দেয়ার কাজ করছে সংগঠনটি। ফলে সিন্ডিকেটের দাম ওঠা-নামার প্রচেষ্টা থেমে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও সকাল থেকেই চলছে পশু কোরবানি। পশু কোরবানির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চামড়াবাহী পিক-আপের সারি নগরীর মুরাদপুর এলাকার জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসামুখী।
জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা ঘুরে দেখা যায়, একের পর এক পিক-আপ ঢুকছে মাদ্রাসা চত্বরে। আর মানবিক সংগঠন গাওছিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা সেই চামড়া নামিয়ে লবণ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এখানে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ পিস।
গাওছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ বলেন,
গাওছিয়া কমিটি ও আঞ্জুমান কর্মকর্তাদের তৎপরতায় চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের ৯০ শতাংশ চামড়া জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গাওছিয়া কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. আরসাদ কুতুবি বলেন,
চামড়া বিক্রির টাকা জামেয়ার মিসকিন ফান্ডে যাবে। এখান থেকে গরিব মেধাবী ছাত্রদের সহযোগিতা করা হবে।
মূলত চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতেই গত বছর থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ শুরু করে সংগঠনটি। প্রথম বছরেই সফল হয় তারা। যে কারণে বিগত বছরগুলোতে বিপুল পরিমাণ চামড়া নষ্ট হলেও; এখন সেটি আর হচ্ছে না।
এদিকে চামড়া ব্যবসায়ীদের কারসাজিও অনেক কমে এসেছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৫০০টির বেশির বুথ খুলে সংগ্রহ করা হচ্ছে পশুর চামড়া।
গাউছিয়া কমিটির সভাপতি মো. তাসকির আহমেদ বলেন,
৫০০ টি বুথের মাধ্যমে চামড়াগুলো সংগ্রহ করে জামিয়ার মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে ৫ হাজারের অধিক কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।
চলতি বছর গাউছিয়া কমিটির বাইরে আরও সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা।