কোরবানির পশু।
ঈদের দিনেও রাজধানীতে চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। বৃষ্টি বাগড়া দেয়ায় হাটে ক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যদিকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে হাটে ঈদ কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা।
আরব আলী। চার দিন আগে কুষ্টিয়া থেকে এসেছিলেন গাবতলীর পশুর হাটে। চারদিনে তার গরু বিক্রির সংখ্যা মাত্র চারটি। বাকি ৯টি গরু নিয়ে এখন আবার ফিরে যাবেন কি না; তা নিয়ে সংশয়ে সময় কাটছে তার।
ভেজা কণ্ঠে তিনি বলেন, ১৩টি গরু নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় এসেছিলাম বিক্রির জন্য। তবে বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র চারটি। এখন বাকি গরু নিয়ে ফিরে যাবো কি না বুঝতে পারছি না।
আরব আলী ছাড়াও ঈদের দিনে অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসা পশু ব্যবসায়ীরা হাটে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের গরু নিয়ে। সবার চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন কখন একজন ক্রেতা কিনতে আসবেন তাদের অবিক্রিত পশুগুলো। তাদের কেউবা ক্লান্তিতে মুষড়ে পড়েছেন। আবার কারো কপালে পড়েছে চিন্তার বলিরেখা।
তারা জানান, বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে এলেও এখনো অবিক্রিত রয়ে গেছে অনেক গরু। পরিবার ছেড়ে হাটে বৃষ্টিতে ভিজে কেটেছে তাদের ঈদের দিন। অন্যদিকে ঈদের দিনেও ক্রেতারা হাটে আসছেন। কিন্তু বেচাকেনা তেমন নেই।
তবে ক্রেতারা বলছেন, ঈদের দিনেও কমদামে কোরবানির পশু কিনতে পারছেন না। তারা জানান, আজকেও গরুর দাম অনেক চড়া। ঈদের দিনেও দাম ছাড়ছেন না বেপারীরা।
এদিকে চড়া দামের কথা অস্বীকার করে বেপারীরা জানান, লোকসান হলেও গরু বিক্রি করেই বাড়ি ফিরতে চান তারা।
আর হাট ঘুরে আরও জানা যায়, বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়া পাশাপাশি হাটে গরুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় এখনো বিক্রি হয়নি অনেক পশু।