ঊর্ধ্বমুখী কাাঁচ মরিচের দাম।
কমছে না কাঁচা মরিচের ঝাল। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে সাধারণ ভোক্তারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি কমলে ভোক্তার নাগালে আসবে দাম।
নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতায় যখন নাভিশ্বাস ভোক্তার, তখনই আগুন কাঁচা মরিচের বাজার। মাসখানেক আগেও মাত্র ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
হঠাৎ এমন দামবৃদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা ভোক্তাদের। তারা জানান, কাঁচা মরিচের ঊর্ধ্বমুখী দামে বাজারে টিকে থাকাই দায়।
রায়হান নামে এক ক্রেতা বলেন,
বেশ কিছুদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের দাম। অন্যান্য সবজি না হলেও চলে; তবে মরিচ ছাড়া তরকারি স্বাদ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে।
সৈকত নামে আরেক ক্রেতা বলেন,
কাঁচা মরিচের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে মরিচ কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বেশি কেনাও সম্ভব না; আবার পরিমাণে অল্পও বিক্রি করতে চাইছেন না দোকানিরা।
কাঁচা মরিচের বাজারে এমন নাজুক অবস্থায় কিছুটা বেপরোয়া বিক্রেতারাও। কারওয়ান বাজারে ৫০০ টাকায় বিক্রি হলেও, মোহাম্মদপুরের টাউনহলে দাম হাঁকছেন কেজিপ্রতি ৬০০-৬৫০ টাকা। একই চিত্র রাজধানীর অন্যান্য বাজারগুলোতেও।
বিক্রেতারা বলেন, পাইকারিতে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকার ওপরে। মূলত ঈদুল আজহার কারণে উৎপাদন পর্যায়ে শ্রমিক সংকট এবং অতিবৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে।
তবে বৃষ্টির প্রকোপ কমলে কাঁচা মরিচের দাম ভোক্তার নাগালে আসবে বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে মরিচের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবু কমছে না মরিচের দাম। এরমধ্যে দুইদিন আমদানির পর ঈদের কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে মরিচ আমদানি।