পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সাড়ে ৩৬ হাজার টন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পাভো ব্রেভ।
শনিবার (১ জুলাই) রাতে পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।
পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে ৩৬ হাজার ৫৭০ টন কয়লা নিয়ে এমভি পাভো ব্রেভ নামে একটি জাহাজ পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে জাহাজটি ইনার এ্যাংকোরেজে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এদিকে জাহাজটি ইনার এ্যাংকোরেজে পৌঁছানোর পরপরই লাইটারের মাধ্যমে কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চলতি বছরের ২২ জুন ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে এমভি এ্যাথেনা নামে একটি জাহাজ বন্দরে এসেছিল।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম বলেন, ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয় করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। তা দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে এমভি এ্যাথেনায় করে আসা ৪১ হাজার টন কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়লার বাকি চালানগুলো নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে পর্যায়ক্রমে আরও ১৬টি জাহাজ আসছে। এ ছাড়া সরকার নতুন করে কয়লা কেনার জন্য ডলার সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। কেন্দ্রটি চালাতে প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে থাকে চীনা অংশীদার সিএমসি। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করেছিল।
এতে চলতি বছরের ৫ জুন কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০ দিনের জন্য বন্ধ থাকার পর ২৫ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সর্ববৃহৎ এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালু করা হয়।