ফ্রান্সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল নিহত হওয়ার জেরে ফ্রান্সজুড়ে গত পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। তবে এবার বিক্ষোকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেই নিহত তরুণের নানি।
রোববার (২ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাহেলের নানি নাদিয়া ফ্রান্সের টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএমকে বলেন, ‘আমরা চাই না তারা দোকান, বাস এবং স্কুল ধ্বংস করুক।’
তিনি বলেন, ‘তারা নাহেলকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা চাই পরিস্থিতি শান্ত হোক।’
নাহেলের নানি বলেন, ‘যারা সহিংস বিক্ষোভ করছে তাদের বলছি, জানালা ভাঙচুর করবেন না, স্কুল বা বাসে হামলা করবেন না। থামুন! মায়েরা বাসে উঠছেন, মায়েরাই বাইরে হাঁটছেন।’
তিনি আরও বলেন, নাহেল মারা গেছে, এখন আমার মেয়ের জীবনে আরও কিছু নেই। এ সময় গুলি করা সেই পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে শনিবার (১ জুলাই) রাতভর পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতে দক্ষিণের শহর মার্সেইতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে । রাতভর বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এদিন রাতে মার্সেই থেকে ৫৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন টুইটার বার্তায় বলেন, গত রাতে মোট ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর প্রশংসা করেন তিনি। তার দাবি, তাদের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে অন্যদিনের তুলনায় শান্ত একটি রাত পার করেছে ফ্রান্স।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে প্যারিসের পশ্চিমে ন্যান্টা এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ১৭ বছর বয়সি তরুণ নাহেল এমকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। খবরে বলা হয়েছে, সড়কে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করায় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় গত চার দিন ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।