বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আসামিরা। ছবি:সংগৃহীত
আট মাসের তদন্ত শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, অ্যাডমিন অফিস থেকেই ফাঁস হয়েছে প্রশ্ন।
এ মামলায় গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে তারা প্রশ্নফাঁসে নিজেদের ও অন্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত আদালতকে জানিয়েছে। আর তদন্তে বিমানের ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ডিবি।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সিকিউরিটি, তার দুইজন অপারেটর, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) গাড়ি চালকসহ ২৬ জন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জিএম অ্যাডমিনের অফিস কক্ষে বসে গত বছরের ১৯ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রথম পেপার প্রিন্ট করা হয়। সেখান থেকেই একজন সদস্য একটি প্রশ্নপত্রের ছবি ধারণ করে নেন। ২০ অক্টোবর প্রশ্নপত্র থেকে শুধু বিমান বাংলাদেশের লোগো মুছে এমসিকিউ প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিয়ে দুই মোটর ট্রান্সপোর্ট অপারেটরকে সরবরাহ করা হয়।
পরে তারা উত্তর সম্বলিত প্রশ্নপত্র বিভিন্ন জনের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। ২০ অক্টোবর প্রশ্নপত্রটিকে ফটোকপির মাধ্যমে হাজার হাজার কপি করার জন্য এমডির অফিস সহকারী জাহিদ হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. হারুন আর রশিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার সময় মোবাইল ফোন সঙ্গে নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু এমডির অফিস সহকারী জাহিদ ২০ অক্টোবর প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার সময় তার ফোন সঙ্গে নিয়ে যায়। সেখানে সে প্রশ্নপত্রের উভয় পৃষ্ঠার ছবি তুলে রাখে।
এর আগেও ডিবি বিমান বাংলাদেশের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।