সরার দই।
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়ার বিখ্যাত সরার দই। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) সম্প্রতি এ অনুমোদন দিয়েছে।
এর পাশাপাশি শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম জিআই স্বীকৃত পেয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপসচিব) জিল্লুর রহমান বলেন,
ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক ও কৃষি- এই তিন প্রকারে জিআই পণ্য হয়। আমরা যখন কোনো পণ্য বাণিজ্যিকরণ করতে যাই, তখন জিআই স্বীকৃতি থাকলে তার রফতানি মূল্য বেড়ে যায়। বিভিন্ন দেশে এমন অনেক পণ্য আছে, যেগুলোর জিআই ট্যাগ থাকার কারণে রফতানি মূল্যসহ অভ্যন্তরীণ বাজারেও তার চাহিদা বেড়ে যায়।
জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পাওয়া কিংবা নিবন্ধন নেয়া একেবারে প্রাথমিক পর্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরপর এটির ইউজার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে। এছাড়া খাঁটি পণ্য হিসেবে ট্যাগ লাগাতে গেলে তার মান সবসময় বহাল রাখতে হবে। কেননা, মানে ছাড় দিলে পরে তা বাজারে টিকতে পারবে না।’
জিল্লুর রহমান বলেন, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়েছে। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জি-আই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু মাঝখানে করোনার জন্য তিনটি বছর আমাদের কাজ খুব এগোতে পারেনি।
বাংলাদেশের মানুষ জিআই সম্পর্কে খুব একটা সচেতনও না বলে মন্তব্য করে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফলে লোকজন আবেদন করলে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো, বিশেষ করে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমাদের আইন দিয়ে চলতে হয়। যে কারণে তারা যদি সঠিকভাবে কাগজপত্র দিতে না পারে, তখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়।
মানুষ সচেতন না হওয়ায় ডকুমেন্টশন ভালো হয় না উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা সবকিছু নিয়েই কাজ করছি। আমাদের কাজ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত জিআই পণ্য ছিল ১০টি। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আমরা বলতে পারছি এখন বাংলাদেশে ১৫টি জিআই পণ্য রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে জিআই পণ্য বাড়বে। অনেকগুলো পণ্য পাইপলাইনে রয়েছে।