দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটাচ্ছে জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টের কাছের শহরের মানুষরা। জাপোরিঝিয়া শহর রাশিয়া কখনই দখল করতে পারেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে দাবি করেন, রাশিয়ান বাহিনী বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি পাওয়ার ইউনিটের ছাদে বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু স্থাপন করেছিল।
এদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন অন্যান্য পারমাণবিক স্থাপনা থেকে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য দিয়ে বস্তাবন্দি মিসাইল বা ড্রোন দিয়ে প্ল্যান্টে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে উভয় পক্ষই তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের মতে, রাশিয়া প্লান্টে ‘বিস্ফোরকের মতো বস্তু স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত প্লান্টে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে, হয়তো তাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু যাই ঘটুক, বিশ্ব তা দেখছে।’
এরআগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বিস্ফোরক স্থাপন সম্পর্কে সতর্ক করে জানায়, সাইটে ‘তৃতীয় এবং চতুর্থ চুল্লির বাইরের ছাদে বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো বাহ্যিক বস্তু স্থাপন করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাদের বিস্ফোরণে বিদ্যুতের ইউনিটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, তবে ইউক্রেনের দিক থেকে গোলাগুলোর একটি অভিযোগ আসতে পারে।’ মস্কো ‘এটি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেবে’ বলে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে।
এদিকে মস্কোতে, রাশিয়ার রোসাটম পারমাণবিক সংস্থার উপদেষ্টা রেনাত কারচা কিয়েভকে প্লান্টে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
কারচা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আজ আমরা এমন তথ্য পেয়েছি যে, আমি দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিতে পারি ৫ জুলাই আক্ষরিক অর্থে রাতে অন্ধকারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।’
তিনি দাবি করেছেন,ইউক্রেন ড্রোনের পাশাপাশি ‘উচ্চ প্রযুক্তির-নির্ভুল, দূরপাল্লার অস্ত্র’ ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন নিয়মিতভাবে একে অপরকে প্লান্টের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করেছে।