রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নয় শিশুকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মানবপাচারকারি চক্রের নয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে অপহৃত তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপর ছয় শিশুকে উদ্ধার ও চক্রের অন্য সদস্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) রাতে উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ পারভেজ, নুরুল আমিন, মো. ফয়সাল ও মো. শফিকুল। তারা সবাই টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা। এ ছাড়া মো. আমিন ও মো. মোবারক উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধার শিশুরা হলেন, ক্যাম্প-১৩ এর ইলিয়াসের ছেলে সৈয়দ নুর, একই ক্যাম্পের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাসান ও মো. তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান। এখনও হদিস মেলেনি ওসমান, রিমন, কামাল মোস্তফা, হারেছ, নুর আলম ও সৈয়দুল মোস্তফা নামে শিশুদের।
সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, গত ২ জুলাই বেলা ১১টায় একটি অপরাধী চক্র টেকনাফে সুপারি পাড়া ও গাড়িতে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প-১৩ থেকে আনিসুর রহমান, নুর আলম, মোহাম্মদ হাসান ও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাদেরকে আটকে রেখে তাদের স্বজনদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। গত ৬ জুলাই বেলা ১২টায় একই অপরাধী চক্র একই কায়দায় ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে সৈয়দ নূর, সৈয়দুল মোস্তফা, ওসমান, রিমন, কামাল মোস্তফা ও হারেছকে অপহরণ করে টেকনাফ নিয়ে যায়। অপহরণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি পাড়া দুর্গম স্থানের সুপারি বাগানের ভেতর থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের নয় সদস্যকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের প্রলোভনে টেকনাফ এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভেতরে নির্জন স্থানে আটক রাখে। পরে তাদের চোরাপথে নৌকাযোগে মিয়ানমারের শামিলা এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। পরে অপহৃতদের স্বজনদের কাছে বড় অংকের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়।