কর্মবিরতিতে ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অধীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা।
শনিবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতনভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা এবং এ ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে তারা এই কর্মবিরতিতে নামেন।
প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতনভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ‘ন্যায্য দাবির’ বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষ সমর্থন দিয়ে থাকলেও, তাদের আশ্বাস বরাবরের মতোই মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে বলে জানান কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকরা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ২০ হাজার টাকায় একজন ডাক্তার কীভাবে তার সংসার চালাতে পারেন–এমন প্রশ্ন রেখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানান তারা।
আন্দোলনরত ডা. বেনজির বেলাল খান বলেন, ‘ট্রেইনি হিসেবে দু-বছর হয়ে গেছে। এই আন্দোলন চলছে তিনি বছর ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম এই ভাতা দেন তাদের। ২০১২ সাল থেকে তাদের ভাতা দেয়া শুরু হয়। তখন তাদের ভাতা দেয়া হতো ১০ হাজার টাকা। এই ভাতা পরবর্তীকালে ২০১৬ সালে ২০ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু তা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও এখনও বাড়াচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে ২০ হাজার টাকা দিয়ে চলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
আন্দোলনরত আরেক চিকিৎসক ডা. মো. ইব্রাহীম শুভ বলেন, ‘জীবনবাজি রেখে মানুষের জন্য সেবা দিয়ে যাই। ২০ হাজার টাকা দিয়ে কী হয়? অমানবিক পরিশ্রমের ন্যায্য মর্যাদা চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই পরিবার আছে। কারো স্বামী-সন্তান কারো স্ত্রী রয়েছে। ২০ হাজার টাকায় কোনোভাবেই পরিবার চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। একটা সভ্য দেশে ডাক্তার তখনই মাঠে নামে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না ২০ হাজার টাকায় চলতে।’