সংঘর্ষে আহত ব্যক্তি।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের আটকের ভয়ে হরিহরনগর গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নারীরা।
আহতরা হলেন-মো. আনোয়ার হোসেন (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪৫), ইমরুল (৩৫), মঞ্জু (৫২), মিঠুন মোল্লা (৪৮), বাকিয়ার শেখ (৬০) প্রমুখ। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু এবং যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. বাকিয়ার মোল্লার মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঈদুল আজহার আগে মঞ্জু মেম্বারের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঞ্জু মেম্বার (সাবেক) এবং একই গ্রুপের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলী মেম্বারের (সাবেক) মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু মেম্বার তার প্রতিপক্ষ বাকিয়ার মোল্লার সঙ্গে মিলে যায়।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে মঞ্জু ও বাকিয়ার একত্রে তাদের কিছু অনুসারীদের নিয়ে হরিহরনগর বাজারে চা পান করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেব মেম্বার তার লোকজন নিয়ে মঞ্জু মেম্বারের অনুগত সরোয়ারকে (৬০) কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের আক্রমণে সাহেব মেম্বার আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী যুগিবরাট গ্রামের পান্নু কাজী এবং উথলি গ্রামের আজিজ মাতবরের নেতৃত্বে একদল লোক সাহেব মেম্বারের অনুসারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে মঞ্জু ও বাকিয়ারের নেতৃত্বে সংঘটিত অপর পক্ষের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মারাত্মক আহত মঞ্জু মেম্বারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় গ্রুপের যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।