গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অভিজাত আবাসিক এলাকা, চারপাশ সাজানো গোছানো-সুসজ্জিত অথচ মিলছে এডিসের লার্ভা। চোখের সামনে পানি জমে থাকলেও নেই ভবন কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী অভিযানের প্রথম দিনে এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় নগর কর্তৃপক্ষকে।
শনিবার (৮ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে একযোগে শুরু হয় মাসব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম। উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঝটিকা সফরের মাধ্যমে খোঁজ নেন প্রোগ্রামের। আর এতেই ধরা পড়ে একের পর এক এডিসের আবাসস্থল।
ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। এক সময়ের বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্য এখন আর সরঘাটের সঙ্গে প্রযোজ্য না হলেও ঠিকই মিলে যায় জাপান গার্ডেন সিটির সঙ্গে। সারিবদ্ধ বহুতল ভবনের মাঝেই লুকিয়ে আছে মৃত্যুফাঁদ। এডিসের বংশবৃদ্ধির সহায়ক সব ক্ষেত্র।
২৩টি বহুতল ভবনের সমন্বয়ে গঠিত জাপান গার্ডেন সিটির বেশিরভাগ বাড়িতেই মিলেছে এডিসের লার্ভা। সব বাড়ির বেইজমেন্টে গাড়ি ধোয়ার জমে থাকা পানিতেই জন্ম নেয় এডিস। চোখের সামনেই এডিসের এমন প্রজণনক্ষেত্র অথচ নির্বিকার ভবন মালিক ও বাসিন্দারা।
অভিযোগ আছে, এডিসের প্রাদুর্ভাব ঘটা প্রতি বছরেই জাপান গার্ডেন সিটিতে পাওয়া যায় নানা অনিয়ম। প্রতিবারই খোঁজ মেলে এডিসের লার্ভার। সবগুলো বাড়ি মিলিয়ে ১৪ থেকে ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন থাকলেও মশা নিধনে কারো নেই কোনো উদ্যোগ।
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নামে জাপান গার্ডেন সিটি কিন্তু বেসিকলি এটি হয়ে গেছে লার্ভা গার্ডেন সিটি! ভেতরে কোটি কোটি লার্ভা পাওয়া গেছে।
উত্তরের মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এ মুহূর্তে খুবই ভয়াবহ। জাপান গার্ডেনের ভেতরে যেন মশা চাষ হচ্ছে। এটা অবিশ্বাস্য। জাপান গার্ডেনের ভেতরে গিয়ে তো পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমার না। এটা জাপান গার্ডেনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
অভিযানে জাপান গার্ডেন সিটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৬ মাসের জেল হবে। এ ছাড়া জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আটক করা হয় দুইজনকে।