সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে মেতেছেন স্টোকস। ছবি: ক্রিকইনফো
বাজবল আর ঐহিত্যগত টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ ইংল্যান্ড। তাদের কৌশল যখন প্রশ্নের মুখে তখন হ্যারি ব্রুক ও ক্রিস ওকসের বিরোচিত ইনিংসে ভর করে তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। এরপরতো একপ্রকার হুঙ্কারই ছাড়লেন থ্রি লায়ন্সদের অধিনায়ক বেন স্টোকস। বলছেন, অস্ট্রেলিয়াকে পরের দুই ম্যাচেও হারিয়ে জিতে নেবেন সিরিজ।
অন্য যেকোনো বারের তুলনায় এবারের অ্যাশেজের টেস্ট সিরিজ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের আগ্রহ একটু বেশি। কারণ লড়াইটা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বাইরেও যোগ করেছিল ভিন্ন এক মাত্রা। সাদা পোশাকের লড়াইয়ে নতুন কৌশল বাজবল নিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড। যেখানে ব্যাটিংয়ের সময় তাদের মনোভাব থাকবে আগ্রাসী। বল এবং রানের মধ্যে থাকবে না খুব একটা পার্থক্য।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ঐতিহ্যগত লড়াইটাই করে যাবে। ক্রিকেট বিশ্ব অধীর আগ্রহে ছিল, বাজবল ও ঐতিহ্যগত লড়াইয়ের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনটা সফল হয় সেটা দেখার জন্য। যেখানে প্রথম দুই ম্যাচেই সফলতার মুখ দেখেছে মন্থর গতিতে ব্যাট করার ঐতিহ্যগত টেস্ট। অর্থাৎ প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে জয়টা খুব সহজ ছিল সেটা বলা যাবে না। লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডিই। দুই ম্যাচেই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম ম্যাচ তারা হেরেছে ২ উইকেটে আর দ্বিতীয় ম্যাচ ৪৩ রানে।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বেশ সমালোচনার মুখেই পড়েছিল ইংলিশদের বাজবল কৌশল। সে সব অবশ্য গায়ে মাখেননি কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। নিজেদের ওপর বিশ্বাস ধরে রেখে অবশেষে তারা সমালোচকদের মুখও বন্ধ করতে পেরেছেন। তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যবধান ২-০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২-১ এ।
হেডিংলি টেস্ট জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া স্টোকস এখন হুঙ্কার ছাড়ছেন পরবর্তী দুই ম্যাচও জিতে নেয়ার। বলছেন, পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডই জিতবে সিরিজ। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই তার।
স্টোকস বলেন, ‘হ্যাঁ, এ নিয়ে আমার মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। আরেকটি অনিশ্চয়তায় ভরা ম্যাচ খেললাম। ভালো লাগছে যে এবার আমরা জিততে পেরেছি এবং আমাদের আশাটা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি।’
স্টোকসের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমের পর অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অস্ট্রেলিয়ার পর গত ৮৭ বছরে যেটি অ্যাশেজে আর কখনোই কেউ করতে পারেনি।
এদিকে চলতি অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ১৯ জুলাই। আর শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জুলাই। এর একটি জিততে পারলেই সিরিজ নিজেদের করে নিবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে সিরিজ জিততে হলে ইংলিশদের করতে হবে অসম্ভব কিছু।