সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১০ জুলাই) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সুপরিশ ছিল কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি তারা (ইইউ) যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায়, তাদের সুস্বাগত। যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, একজন কূটনীতিক নিজের আওতার মধ্য থেকে কাজ করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব পালনে ৪১ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা আছে। তারা সেই নীতিমালার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বরং নির্বাচন নিয়ে বহু কথা হয়, যে কারণে পর্যবেক্ষকদের আমরা স্বাগত জানাই। তারা সরেজমিনে দেখতে পাবেন, নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। এ নিয়ে বাধ্যবাধকতার কোনো সুযোগ থাকবে না।’
বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের ছয়জনের একটি দল এসেছে। তারা খুঁটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করবেন। তারা দলের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গেও বসবে আগামী ১৫ জুলাই।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এটি চান তারা। কোনো উদ্বেগের কথা তারা বলেননি, ভালোটা আশা করেছে। খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি।’
বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘না, এ কথা আমরা কেন বলব। তারা কাকে কী অনুরোধ করবেন, এটা তাদের ব্যাপার।’
এ মাসের শেষের দিকে ভারতে যাচ্ছেন, বিজেপির সঙ্গে বৈঠক আছে; এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমার নেতৃত্বে একটি দল চার বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে রামমাধবের নেতৃত্বে ভারত থেকে একটি দল এসেছিল। এটি দলের সঙ্গে দলের আলোচনা।’
ভারতের প্রসঙ্গ এলেই আপনারা প্রশ্ন করেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে প্রতিবছর সফর বিনিময় করি, তা তো বললেন না। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেন না। চীন থেকেও ১৫ জন ঘুরে এসেছি। ভারতে তো যাবেন পাঁচ জন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মূলত নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। এতে চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিও ছিল। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তাদের সেই কথাই বলেছি। শেখ হাসিনা সরকার নিয়মিত কাজ করে যাবে। এ সরকার নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। সরকারি দল তখন কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমনটি হয়।’