দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে সূচকের মান। তবে লেনদেন বেড়েছে উভয় পুঁজিবাজারে। আর ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।

সোমবার (১০ জুলাই) পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসইর বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩২৫ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। তবে ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট। সূচকটি অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯০ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে এদিন বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ১ হাজার ৮৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন বেড়েছে ১৬২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এ ছাড়া সোমবার ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টি কোম্পানির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডস। এ ছাড়া অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিডেট, লুব-রেফ লিমিটেড, সি পার্ল, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি, ইয়াকিন পলিমার, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স ও খান ব্রাদার্স ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।

চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ (সিএসই)

অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও সোমবার বেড়েছে লেনদেন। এদিন লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ০৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

তবে এদিন সিএসইতে একটি বাদে কমেছে সব কটি সূচকের মান। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭০৩ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসসিএক্স ২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১৭২ দশমিক ৩২ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৭৭ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।

আর সিএসই-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৪৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। তবে এদিন বেড়েছে সিএসই-৫০ সূচকের মান। সূচকটি অবস্থান করছে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ০৩ পয়েন্ট।

সিএসইতে ২১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ৯৯টি ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টির কোম্পানির শেয়ারদর।