ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ দল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে উড়িয়ে দিয়েছে মোসাদ্দিক বিল্লাহর দল।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। ম্যাচে একটি করে গোল করেছেন মোসাহিদ আলী, শাহিন আলম এবং আবু বকর। আরেকটি গোল এসেছে আত্মঘাতী থেকে।
শক্তির বিচারে খানিকটা এগিয়ে থাকা সাংবাদিকতা বিভাগ শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। দুই স্ট্রাইকার মোসাদ্দিক এবং মোসাহিদের সঙ্গে মধ্যমাঠের রসায়ন ছিল দেখার মতো। জমাট রক্ষণে প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছেন হাবিবুর রহমান শান্ত এবং সোহানুর রহমান সোহান। আর মধ্যমাঠে আক্রমণ জমিয়ে তোলার কাজটা দারুণ দক্ষতায় করেছেন মেরিন মোস্তবা মাটি এবং সাকিব জামান শুভ।
তবে প্রথমার্ধে বল দখল কিংবা আক্রমণে বেশ এগিয়ে থাকলেও একটির বেশি গোল পায়নি সাংবাদিকতা বিভাগ। একমাত্র গোলটি এসেছে মোসাহিদের পা থেকে। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় সাংবাদিকতা বিভাগ। প্রতিপক্ষ রক্ষণের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণে শাণাতে থাকে সবুজ জার্সিধারীরা। এ অর্ধে তাদের সাফল্যও এসেছে বেশ। ম্যাচের শেষদিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোল করেছেন শাহিন-আবু বকররা।
শেষের অর্ধে প্রথম গোলটি করেন শাহিন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাড়ানো বল গোলরক্ষককে একা পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি এই স্ট্রাইকার। তৃতীয় গোলটি এসেছে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে। বক্সের বাইরে থেকে মাটির নেয়া শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। শেষ গোলেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভূমিকা বেশ। তার হাত থেকে ছুটে যাওয়া বল জালে জড়িয়ে স্কোরলাইন ৪-০ করেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি হিসেবে নামা আবু বকর।
গ্যালারিতে বসে এদিন ম্যাচ উপভোগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ এবং সহকারী অধ্যাপক আমিনা রিংকি। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।