রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের কাছে থাকা বিদেশি ট্যাংকগুলো রাশিয়ার মূল লক্ষ্যবস্তু হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে ইউক্রেন তেমন কিছু করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে রাশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। নতুন করে পশ্চিমাদের আরও অস্ত্র সহায়তা দেয়ার ঘোষণায় বৈশ্বিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে এবং সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে।

সম্প্রতি ফ্রান্স ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি আড়াইশ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পুতিন বলেন, ‘হ্যাঁ, এগুলো ক্ষতি করতে পারে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে এ ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইউক্রেনের জন্য তেমন ফলপ্রসূ হবে না।’

তিনি বলেন, ইউক্রেনের কাছে থাকা বিদেশি ট্যাংকগুলোকে রুশ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রাধান্য দেবে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে গেছে। তিনি আশা করেন, কিয়েভের পাল্টা আক্রমণ মস্কোকে বাধ্য করবে আলোচনার টেবিলে বসতে।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসতোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘পুতিন এরই মধ্যে যুদ্ধে হেরে গেছে। পুতিন প্রকৃত সমস্যায় আছেন। তার ইউক্রেন যুদ্ধে জেতার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই।’

এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ন্যাটোর সবচেয়ে নতুন সদস্য রাষ্ট্র ফিনল্যান্ডের মতো ইউক্রেনও একদিন এ সামরিক জোটের সদস্য হবে।

তবে ন্যাটো নেতারা এখনো ইউক্রেনকে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেননি। পুতিন বলেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের নিরাপত্তা একটুও বাড়বে না। বরং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক নিরাপত্তা আরো ভঙুর হবে।’

পুতিন বলেন, যেকোনো দেশই তাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারে। তবে এতে অন্য কোনো দেশের নিরাপত্তা যেনো বিঘ্নিত না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

ন্যাটো সম্মেলন নিয়ে এটাই পুতিনের জনসম্মুখে প্রথম মন্তব্য। তিনি আবারও ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।