মার্কিন যুদ্ধবিমান। ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক মহড়ার একদিন পরই অঞ্চলটিতে মার্কিন যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। বুধবার (১২ জুলাই) তাইওয়ান প্রণালীতে বিমান ও নৌ বাহিনীর মহড়া চালানোর কথা জানায় বেইজিং। এর পরদিন বৃহস্পতিবার অঞ্চলটিতে মার্কিন যুদ্ধবিমান টহল দেয়। এ নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার তাইওয়ান প্রণালিতে টহল শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক বিমান পি-এইট পোসেইডন। যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি টের পেয়ে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে চীনা সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবেই তাদের যুদ্ধবিমান টহল চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে টহল দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে মার্কিন বাহিনী।
এদিকে চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেয়ার কথা নতুন করে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে চীন যেভাবে মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে এতে করে দ্বীপটির নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে।
মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের দ্রুতই তাইওয়ানকে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা উচিৎ। চীনের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে গেল বছর থেকে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি অনেকটাই কমিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে তাইওয়ান ইস্যুকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান শীর্ষ চীনা কূটনীতিক ওয়াং ই।