রাত পোহালেই (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
রোববার (১৬ জুলাই) নির্বাচনী সরঞ্জাম নিতে সকাল থেকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে জড়ো হন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যরা।
এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু কেন্দ্র থাকলেও তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোট হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে। সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীরর আলম গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনের বিষয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। ভোটকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান বলেন, ১ হাজার ৩৩৯ জন কর্মকর্তা প্রস্তুত ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনী দায়িত্বে। প্রত্যেক কেন্দ্রে রয়েছে ৫ জন পুলিশ, ২ জন আনসারসহ মোট ১৯ জন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়া ১২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে দু’চারটি কেন্দ্র ছাড়া কোনো কেন্দ্রে নেই ঝুঁকিও।
নির্বাচনে কোনো রাজনেতিক চাপ নেই দাবি করে তিনি জানান, মাঠে থাকবে ১০ প্ল্যাটুন বিজিবিসহ মোবাইল কোর্ট ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ৬০৫টি ভোটকক্ষের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম উরফে হিরো আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য হওয়া আসনটিতে গত ১ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।