নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করছেন অতিথিরা। ছবি:সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন জেলার পর এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ৩০তম এ স্মার্ট কর্নারের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার। এ স্মার্ট কর্নার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করেন তিনি।
ভিশন টোয়েন্টি টোয়েন্টি ওয়ান সফলভাবে বাস্তবায়নের পর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সারা দেশে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল, স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এই প্রয়াস। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও উন্নত রূপরেখা।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিসহ সবক্ষেত্রে ব্যবহার হবে আধুনিক অনলাইন প্রযুক্তি। সব ভোটারের কাছে সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের সব জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে স্মার্ট কর্নার। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার নিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মার্ট কর্নারের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
স্মার্ট কর্নার উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষ কর্মীদের দিয়ে অনলাইন ক্যাম্পেইনকে প্রাধান্য দিয়ে এই স্মার্ট কর্নারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৭৮টি স্মার্ট কর্নার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এরইমধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলো আগামী দেড় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় এ স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে উঠবেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। নেতাকর্মীদের ডাটা বেইজ তৈরির পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে তারা যে কোনো তথ্য অবগতসহ উন্নত বিশ্বের সব ধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এই স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সঙ্গে তাদের সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান।