চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, ভারতের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক দেখতে চায় চীন। সন্দেহ নয়, উভয়ের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এসব কথা বলেন তিনি। খবর এএফপির।
সীমান্ত নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে ভারতকে ‘অভিন্ন স্বার্থে’র দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে সন্দেহের পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওয়াং ই আরও বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়ের চেয়ে অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ই বেশি। নির্দিষ্ট কিছু ইস্যু সামগ্রিক সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে, এমনটা হতে দেয়া উচিত নয়।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘আশা করি, ভারতীয় পক্ষ এগিয়ে আসবে ও চীনের সঙ্গে বসবে এবং সীমান্ত সমস্যার সমাধানে উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি পথ খুঁজে বের করবে।’
ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর বেশিরভাগই অচিহ্নিত। এই সীমান্ত নিয়ে ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বল্পকালীন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। তবে ১৯৯০ সাল থেকে তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে। বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য সহযোগী দেশ চীন।
তবে সম্প্রতি (২০২০) সীমান্তে দুই দেশের সেনারা আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে ভারতের ২০ ও চীনের ৪ সেনা নিহত হয়। ফলে সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ওই ঘটনার পর সামরিক ও শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়।