ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানচিত্র। ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একইদিন ও একই সময়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে শহরে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পদযাত্রা করবে বিএনপি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই)
বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশ করবে জেলা আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশ শেষে উন্নয়ন শান্তি শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এনিয়ে আজ সোমবার দিনভর জেলা শহর জুড়েই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার বিষয়ে মাইকিং করানো হয়েছে।
অপরদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পদযাত্রার ডাক দয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার একই সময় বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিএনপি একটি পদযাত্রা বের করবে। পদযাত্রাটি শহরের জেলা পরিষদ, কালীবাড়ি মোড়, টিএরোড, মঠের গোড়া প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা শহর জুড়েই দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে মাইকিং হয়েছে। তবে বিএনপির মাইকিং নিয়ে শহরের অনেকেই অবাক হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পদযাত্রা করবে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলা শহরজুড়ে বিএনপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আর উপজেলা গুলোতে দলীয়
নেতাকর্মীরা পদযাত্রা সফল করার লক্ষ্যে কাজ করছে। একইদিন আওয়ামী লীগে কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের যে চরিত্র ও ধর্ম কখন কী যে, কী করে বলা মুশকিল। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করব।’
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে শোভা যাত্রা হবে। এ জন্যে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘একই সময়ে দুই প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়েছে। তবে ভিন্ন-ভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি হবে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। কোনো অবস্থাতেই কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এ ব্যাপারে মাঠে তৎপর থাকবে পুলিশ।’