বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের চেয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টই বেশি দেখা গেছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ১১.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সংখ্যার হিসেবে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৭ হাজার ৩৭টি।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত পেয়েছে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।
এছাড়া জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ ভোট, জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান গোলাপ ফুল প্রতীকে ৯২৩, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন ছড়ি প্রতীকে ৬৪, স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ট্রাক প্রতীকে ৫২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন ডাব প্রতীকে ৪৩ এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান সোনালি আঁশে ২০২ ভোট পেয়েছেন।
কমিশনের তথ্য বলছে, আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫। উপনির্বাচনে মোট ৩৭ হাজার ৪২০টি ভোট পড়েছে। এরমধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৮৩ ভোট। আর বৈধ মোট ভোট ৩৭ হাজার ৩৭টি। নির্বাচনে ১১.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোট বর্জন
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল ৪টায়। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারেকুল ইসলাম ভূঞাঁ নির্বাচন বর্জন করেন।
তিনি বলেন, যতগুলো কেন্দ্রে গেছি, ভেতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ উপস্থিতি আছে। কিন্তু বাইরে আমার গাড়ি এবং আমার লোকজনকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। পরে প্রশাসনের সহায়তায় আমি কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। শুধু সরকারদলীয় লোকজন ছাড়া এখানে আর কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে বিকেলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বনানীতে মারধরের শিকার হন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। পরে সন্ধ্যায় মহানগর হাউজিং সোসাইটিতে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। বর্জনের পাশাপাশি তার ওপর হওয়া হামলার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলেও দাবি করেন আলম।
সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দূতাবাসে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি মামলা করার কথাও বলেছেন তিনি।