রাজধানীর কমলাপুরে বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল ম্যাচ; (ইনসেট) গোলাম রব্বানী ছোটন। ছবি : সংগৃহীত
নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে টাইব্রেকারে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল হেরে যাওয়ায় হতাশ খেলা দেখতে আশা সমর্থকরা। কোচের ভুল কৌশলের কারণেই দল জয়বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করেন তারা। এদিকে, নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে আবারও কোচিং প্যানেলে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন সমর্থকরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল। রাজধানীর কমলাপুরে শেষ হাসিটা ফুটল নেপালের মুখে। সমর্থকদের হতাশ করেই নেপালের বিপক্ষে এ ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাবিনা-মনিকাদের। আর বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে হিমালয় কন্যারা।
দীর্ঘ দশ মাস জাতীয় দলের খেলা নেই। সাফের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি লাল-সবুজের দল। তারই প্রভাব পড়েছে কমলাপুরের টার্ফে। নেপালের বিপক্ষে সাবিনা-কৃষ্ণাদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স হতাশ করেছে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের।
তরুণ এক সমর্থক বলেন, ‘আমি মনে করি এ হারের পেছনে টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী। আর সানজিদা অনেক খারাপ খেলেছেন। অনেক আশা নিয়ে মাঠে এসেছিলাম, সেটি পূরণ হয়নি।’
আরেক সমর্থক বলেন, ‘ফিনিশিংয়ের কাজটি ভালোভাবে করতে পারেনি বাংলাদেশ। আমরা চাই কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে ফিরিয়ে আনা হোক।’
পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলপোস্টে অন টার্গেট শটে নেপালের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলার মেয়েরা। কোচের ভুল কৌশলেই বেশ কয়েকবার গোলবঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। এমনটিই মনে করেন সমর্থকরা।
১২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে জাতীয় নারী দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করলেও এ ম্যাচে খেলা দেখতে আসেননি তিনি। ডাগআউটে গুরু ছোটনের অভাব নারীদের ভুগিয়েছে অনেক।
বাফুফের গাফিলতির কারণেই পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী দলের ফুটবল। তবে নারী দলের এমন সময়ে অভিমান ভেঙে সমর্থকদের আহ্বানে কি সাড়া দিবেন ছোটন – সেটিই এখন দেখার বিষয়।