হট্টগোল নিয়ন্ত্রণে পুলিশ। ছবি সংগৃহীত
প্রধান অতিথি না করায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে। গ্রাম পুলিশ নিয়ে খেলা বন্ধ করতে গেলে চেয়ারম্যানকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে আয়োজক কমিটি ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার(১৮ জুলাই) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুওসুও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুব সমাজের আয়োজনে প্রতি বছর ঈদের পরে ফুটবল প্রীতি ম্যাচ হয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার খেলার আয়োজন হয়। যেখানে প্রধান অতিথি করা হয় স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ রায়হান দুলুকে। অতিথি না করায় মাঠে গ্রাম পুলিশ নিয়ে এসে খেলা বন্ধ করে দেন চেয়ারম্যান সোহেল রানা। অনুষ্ঠানের অতিথিদের তুলে দিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর করেন তিনি। পরে খেলা দেখতে আসা এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে খেলোয়াড় ও এলাকার লোকজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতিও হয়।
অবরুদ্ধ হওয়ার পর চেয়ারম্যান মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এর আগেও ওয়াজ মাহফিলসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান উপস্থিত না হওয়ার কারণে এবার করা হয়নি।
এ বিষয়ে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, থানা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদকে না জানিয়ে খেলার আয়োজন করে তারা। ব্যাপক লোকজনের উপস্থিতির কারণে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হতো। আমি এ জন্য মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই দলের কাছে খেলোয়াড়দের তালিকা চাই। তালিকা না দিয়ে তারা খেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সেখানে উপস্থিত কিছু মাদকাসক্ত লোকজনের প্ররোচনায় আমার উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়।
চেয়ারম্যান আরও জানান, এ ঘটনায় ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।