আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করছেন জয়। ছবি: সংগৃহীত
ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর ওমানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। সেমিফাইনালে জায়গা পেতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সাইফ হাসানের দলের সামনে।
মঙ্গলবার ((১৮ জুলাই) কলম্বোয় ইমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের বাঁচামরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে জয়ের জন্য ৩০৯ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়া টাইগাররা মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে।
আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে তানজিদ হাসানের উইকেটটি হারায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সেলিমের বলে মাত্র ৯ রান করেই বিদায় নেন তিনি। দলীয় ৩০ রানে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও ১৮ রান করে সেলিমের শিকারে পরিণত হন। তার একই ওভারের পঞ্চম বলে ৩৪ রানের মাথায় অধিনায়ক সাইফ হাসানও ৪ রান করে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ২১.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১১৭ রান। ইজহারুলহক নাভিদের বলে জুবাইদ আকবরির হাতে ক্যাচ দিয়ে জাকির হাসান প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৭২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করেন জাকির।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা সৌম্য সরকারও দলের প্রয়োজনে আজ খেললেন দারুণ একটা ইনিংস। জয়কে সঙ্গে নিয়ে ৭৯ রানের একটা জুটি গড়েন তিনি। হাঁটছিলেন অর্ধশতক পূর্ণ করার দিকে। কিন্তু মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বলে তিনি ফেরেন দুই রান দূরে থাকতেই। ৪২ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রান করেন সৌম্য। এরপর জয়কে সঙ্গ দিতে পারেননি উইকেটকিপার আকবর আলি। ৪ রান করেই জিয়াউর রহমানের শিকারে পরিণত হন তিনি।
৪৭তম ওভারেই শতক পূর্ণ করেন জয়। বিপর্যয়ের মুহূর্তে নেমে দলের হাল ধরে বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনিই। কিন্তু শতক পূর্ণ করে আর টেকেননি। ঠিক ১০০ রানেই থেমেছেন মোহাম্মদ সেলিমের চতুর্থ শিকার হিসেবে। ১১৪ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে তিনি সাজিয়েছেন দারুণ ইনিংসটি।
শেষের দিকে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মেহেদী হাসান। মাত্র ১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গী রাকিবুল হাসান ১২ বলে করেন ১৫ রান।
আফগানিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ সেলিম ১০ ওভারে ৬৫ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জিয়াউর রহমান ও ইজহারুলহক ১টি করে উইকেট পান।