নোয়াখালীর মানচিত্র। ফাইল ছবি
নোয়াখালীতে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার তিন মাদক কারবারিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা জজ কোর্টের বিশেষ দায়রা জজ এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় দেন। রায়ের সময় একজন আসামি আদালতে হাজির থাকলেও অপর দুইজন জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।
রায়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের আমিন উল্যার ছেলে সুরুজ মিয়া (৪২), এওজবালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম এওজবালিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে জাহিদুর রহমান রনি (২১) ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নের গোপিভল্লবপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে এমাজ উদ্দিন টুটুল (৩৯)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ সদর উপজেলার খলিফারহাট বাজার সংলগ্ন সুরুজ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ভবনে মাদকের কারবার করা আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে সুরুজ, রনি ও টুটুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেহে তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি পলিথিনে থাকা অবস্থায় অ্যানফেটামিন উপাদান সমৃদ্ধ ৩ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত শেষে তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মামুনুর রশিদ সরকার মামুন গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে রনি ও টুটুল জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার অপর আসামি সুরুজ মিয়ার উপস্থিতিতে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঘটনায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সুরুজ মিয়াকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের কারাদণ্ড, জাহিদুর রহমান রনিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪মাসের কারাদণ্ড এবং এমাজ উদ্দিন টুটুলকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর ও আসামিপক্ষে ছিলেন, এডভোকেট বাহার উদ্দিন।