বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ছবি একুশে বিডি।
পনেরো দিন ধরে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবির দেশের সড়ক পথের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে রফতানি তেমন না হলেও, ভারত ও ভুটান থেকে আমদানি হয়ে থাকে বোল্ডার পাথর। কিন্তু ভারতীয় ট্রাকে ভারত সরকার স্লট বুকিং আরোপ করায় অসন্তোষ দেখা দেয় ব্যবসায়ীদের মাঝে। এতেই বন্ধ হয় বাংলাদেশে পাথর রফতানি। এদিকে আমদানি না হওয়ায় কাজ হারিয়ে অলস সময় পার করছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। এতে করে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ভারত ও ভুটানের মধ্যে চলা সমস্যার সমাধান না হলে, আমদানি স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংশ্রিষ্ট শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গত ১ মাস ধরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ ভারতের ব্যবসায়ী শ্রমিক ও মালিকরা তা বন্ধ রেখেছে। এর মাঝে ভুটান থেকে কিছু সংখ্যক ট্রাক এলেও গত ১৫ দিন ধরে ভুটানের গাড়িও বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সবাই।
আর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘একটা সময় গাড়ির চাপে আমরা খাওয়ার সময় ভুলে যেতাম। বর্তমানে ভারত ও ভুটান থেকে গাড়ি না আসায় এখন প্রায় কর্মহীন অবস্থায় রয়েছি। এদিকে একই কথা বলেন বন্দরের শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী।’
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার স্লট বুকিং বাবদ বোল্ডার পাথর বোঝাই ৬ চাকা ট্রাকে ৩ হাজার ও ১০ থেকে ১২ চাকা ট্রাকে ৫ হাজার টাকা করে আরোপ করে। কিন্তু ভুটানের গাড়িকে এ স্লট বুকিং এর বাইরে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে ভুটান থেকে আসা ট্রাকেও ফি আরোপ করায় পাথর রফতানি বন্ধ করে দেয় ভুটান ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে দু-দেশের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশে পাথর আমদানি কার্যক্রম। এতে কাজ হারিয়ে অলস সময় পার করছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী-শ্রমিকরা।
বাংলাবান্ধা বন্দর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত ও ভুটানের মধ্যে চলা এ সমস্যার সমাধান না হলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে কাস্টম সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।