বাজুস প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি একুশে বিডি।
বাংলাদেশের প্রতিটি দোকানের স্বর্ণ ভালো। এই স্বর্ণ দিয়ে তৈরি অলংকার রফতানি করে বিশ্ববাজারে উজ্জ্বলতা ছড়াতে চায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বাজুস প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে এমন কথাই জানান বাজুস নেতারা।
গুণে-মানে নজর-নান্দনিকতা আর আভিজাত্যের ছোঁয়ায় স্বর্ণালংকার গড়ে ধীরে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়াচ্ছে বাজুস।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা কিউওয়াই রিসার্চের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে সোনা-রুপার অলংকার আর স্বর্ণের বার মিলে বাজারের আকার ছিল ২৮৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। ২০৩০ সালে যা দাঁড়াবে ২ হাজার ১০৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। এ সময়ে শুধু স্বর্ণালংকারের বাজারই ২৩৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে হবে ১ হাজার ৭০৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের।
অভ্যন্তরীণ বাজার বৃদ্ধির এই ধারায় স্বর্ণালংকার রফতানি করে বিশ্ববাজারেও দ্যুতি ছড়াতে চায় মেইড ইন বাংলাদেশ। পাশাপাশি এ শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চান উদ্যোক্তারা।
এ বিষয়ে বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন,
এই শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফেরানোর জন্য আর পরনির্ভরতা নয়। বিদেশ থেকে অলংকার এনে বাংলাদেশে আমরা বিক্রি করব না, বরং আমাদের দেশের শিল্প কারখানার উৎপাদিত স্বর্ণলংকার দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করব।
বাজুসের ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণিল আয়োজনে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর উপস্থিত থাকতে না পারায় আসেন তারা বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। স্বর্ণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের সারথি হয়ে বাজুসকে ৪০ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোর স্পেস উপহার দেন তিনি।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, যদি আপনারা শিল্প কারখানা করেন তাহলে বাজুসকে আমি ৪০ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোর স্পেস দিতে চাই। আমি এটি বাজুসকে উপহার হিসেবে দিতে চাই যেন এখান থেকে আপনারা সারা বিশ্বে স্বর্ণ রফতানি কার্যক্রম চালাতে পারেন।
এদিকে আগামীতে ৩ দিনের পরিবর্তে ৭ দিনব্যাপী বাজুস ফেয়ার করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।