বাম থেকে- পৌর কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু, খায়রুল হাসনাত খালিদ, বাবু ও নাহিদ। ছবি:একুশে বিডি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে মো. ইব্রাহিম আহসান শাওন (৩৫) নামে এক যুবককে হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ১০ বছর পর মামলা হয়েছে। মামলায় পৌর কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু, খায়রুল হাসনাত খালিদসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত এ মামলা গ্রহণের আদেশ দেন। ঘটনার ১০ বছর পর ভিকটিম শাওনের ওই নালিশি মামলা আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো মাহবুব মিয়া আদালতের এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জুকু, খালিদ, বাবু, নাহিদসহ ১০ সন্ত্রাসী শহরের ঝলক ফ্যাশন হাউজের সামনের সড়কে শাওনকে হত্যাচেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিমের শরীরে কুপিয়ে জখম করা হয়। এক পর্যায় হাত-পায়ের রগ কেটে দিলে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ হয় শাওনের। তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা তাকে রক্ষার চেষ্টা করলে জুকু-খালিদ বাহিনী তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে ধাওয়া করে। এ ঘটনার পর ভিকটিমের বাবা থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিলে পুরো পরিবারসহ ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়, ভিকটিমের পায়ের হাঁটুর বাটি এবং হাত ও পায়ের রগ আসামিরা কেটে দেয়ায় দীর্ঘ চিকিৎসা চলে। তবে হাত পায়ের রগ জোড়া না লাগায় এবং পায়ের বাটি না থাকায় পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে। অবশেষে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তার ওপর নৃশংসতার বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন শাওন।
মামলা দায়েরের পর শাওন বলেন, ‘আমার ওপর জুকু-খালিদ বাহিনী যে জঘন্য পৈচাশিকতা চালিয়েছে ১০ বছর পর হলেও আমি এর বিচারের জন্য আদালতে এসেছি। আমি ন্যায় বিচার পেতে সবার সহযোগিতা চাই।’
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু বলেন, ‘আমি ও আমার ছোট ভাই কাউন্সিলর খালিদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা চক্রান্ত শুরু করেছে। অসৎ উদ্দেশ্যে ১০ বছর আগের ঘটনার সঙ্গে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’