শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁয় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন, এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। তবে শয্যা সংকটে অধিকাংশ রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁ সদর হাসপাতালে ১৭ শয্যর শিশু ওয়ার্ডে গত দুদিনে ৬৮ জন, আর সাধারণ ওয়ার্ডে ১০০ শয্যর বিপরীতে সাড়ে ৩শ রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে শয্যা না পাওয়ায় মেঝেতে চলছে অনেকের চিকিৎসা।
স্বজনরা জানান, এখানে ভর্তি হওয়া অনেক রোগী ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না। ভর্তি হওয়ার পর অনেককে মেঝেতে নোংরা পরিবেশে থাকতে হচ্ছে । হাসপাতালের টয়লেট ব্যবস্থা খুবই খারাপ, সেখানে যাওয়া যায় না।
এদিকে, হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সিনিয়র নার্স মোছা নাসনির আক্তার বলেন, যেখানে ২০ জন রোগী থাকার কথা, সেখানে আছে ৬৮ জন। তাহলে সেবা কীভাবে দেয়া সম্ভব। তবে রোগীদের সেবা দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে।
শিশুদের বাড়তি সুরক্ষা ছাড়াও বাসি খাবার পরিহার ও পানিশূন্যতা রোধে তরল খাবার বেশি দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, এ সময় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ কিছুটা বেড়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী।